কসবা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হতে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কসবা উপজেলা।
ঐতিহাসিক কল্যাণসাগর দিঘী, মহান স্বাধীনতার স্মৃতিবিজরিত কোল্লাপাথর এবং লক্ষীপুর শহীদ সমাধিস্থল নিয়ে ঐতিহাসিক উপজেলা কসবা।
কসবা ফরাসী শব্দ । কসবা শব্দটির অর্থ উপশহর বা জনপদ। ভারতবর্ষে মুসলমান শাসনামলে ১৩৩৮ খিস্ট্রাব্দে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে কৈলাঘর নামে একটি দূর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ঐ দূর্গের আশে পাশে প্রথম দিকে জনবসতি এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ছোট শহর কসবা গড়ে ওঠে।
উত্তরে আখাউড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর,দক্ষিণে ব্রাহ্মণপাড়া, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে মুরাদনগর উপজেলা পরিবেষ্টিত কসবা উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয় সালে।
এই উপজেলার আয়তন প্রায় ২০৯.৭৬ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায় এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা: ৩,১৯,২২১ জন (প্রায়) যার মধ্যে পুরুষ 1,51,852 জন এবং 1,67,369 জন। কসবা উপজেলা প্রশাসনের অধীনে ২৩৭ টি গ্রাম এবং ১০ টি ইউনিয়ন বিদ্যমান।
বিষ্ণাউড়ি
|
ইউনিয়ন সমূহ হলো:
১. বায়েক
২. কাইমপুর
৩. কুটি
৪. কসবা পশ্চিম
৫. গোপীনাথপুর
৬. বাদৈর
৭. মেহারী
৮. বিনাউটি
৯. খাড়েরা এবং
১০. মূলগ্রাম
কসবা উপজেলার বুক জুড়ে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে তিতাস, সালদা, বিজনা, সিনাই, সাঙ্গুর, বুড়ি, কালিয়ারা নদীসমূহ।
উল্লেখযোগ্য স্থাপনা এবং বিখ্যাত স্থানসমূহ হলো:
বিষ্ণাউড়ি |
১. কল্যাণ সাগর দিঘী
২. বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে অবস্থিত সীমান্ত হাট
৩. মহান স্বাধীনতার স্মৃতিবিজরিত কোল্লাপাথ শহীদ সমাধিস্থল ইত্যাদি।
0 Comments